************************************ হরে কৃষ্ণ***************************************
কৃষ্ণ ভুলি সেই জীব অনাদি বহির্মুখ।
অতএব মায়া তারে দেয় সংসারদুঃখ।।
শ্রীকৃষ্ণকে ভুলে জীব অনাদিকাল ধরে জড়া প্রকৃতির প্রতি আকৃষ্ট রয়েছ। তাই মায়া তাকে এই জড়া জগতে নানা প্রকার দুঃখ প্রদান করছে। পরম করুনাময় ভগবান কৃষ্ণস্মৃতি জাগরিত করতে মায়াগ্র
স্থ জীবের কল্যাণে বেদপুরাণ আদি শ্রাস্ত্রগ্রন্থবলী দান করেছেন। ভক্তি হচ্ছে ভগবানকে জানার ও ভাগবৎ প্রীতি সাধনের একমাত্র সহজ উপায়। শাস্ত্রে যে চৌষট্টি প্রকার ভক্ত্যাঙ্গের কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে একাদশী ব্রত সর্বোত্তম। শ্রবণ, কীর্তন, স্মরণ আদি নবধা ভক্তির পরই দশম ভক্ত্যাঙ্গারূপে একাদশরি স্থান। এই তিথিকে হরিবাসর বলা হয়। তাই ভক্তি লাভের জন্য সকলেরই একাদশী ব্রত পালনের পরম উপযোগিতার কথা বিভিন্ন পুরাণে বর্ণনা করা হয়েছে।
একাদশী ব্রত পালনে সমস্ত প্রকার পাপ বিনষ্ট হয় এবং সর্বসৌভাগ্য ও শ্রীকৃষ্ণের প্রীতি বিধান হয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আট থেকে আশি বছর বয়স পযন্ত যে কোন ব্যক্তিরই ভক্তিসহকারে পবিত্র একাদশী ব্রত পাল করা উচিৎ। সঙ্কটজনক অবস্থায় বা জন্মমৃত্যুর অশৌচে কখনও একাদশী ব্রত পরিত্যাগ করা উচিৎ নয়। একাদশীতে শ্রাদ্ধ উপস্থিত হলে সেই দনি না করে দ্বাদশীতে শ্রাদ্ধ করাই উত্তম। শুধু বৈষ্ণবেরাই নয়, শিবের উপাসক, সূয্-চন্দ্র- ইন্দ্রাদি যেকোন দেবোপাসক, সকলেরই কর্তব্য একাদশী ব্রত পালন করা।
দুর্লভ মানবজীবন লাভের পরও এই ব্রত অনুষ্ঠান না করলে বহু দুঃখ-কষ্টে চুরাশি লক্ষ্য যোনি ভ্রমন করতে হবে। অহংকারবশত একাদশী ব্রত ত্যাগ করলে অশেষ যমযন্ত্রনা ভোগ করতে হয়। যে ব্যক্তি এই ব্রতকে তুচ্ছজ্ঞান করে, জীবিত হয়েও সে মৃতের সমান। কেউ যদি বলে “একাদশী পালনের দরকার কি? সে নিশ্চয় কুম্ভিপাক নরকের যাত্রী হবে। যারা একাদশী পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে শনিদেবের কোপে তার বিনষ্ট সাধন হয়। একাদশীকে উপেক্ষা করে তীর্থ স্নান ও অন্য ব্রত পালনকারীর অবস্থা গাছের গোড়া কেটে পাতায় জল দানের মত। একাদশী বাদ দিয়ে যারা দেহধর্মে অধিক আগ্রহ দেখায়, ধর্মের নামে পাপরাশিতে তাদের উদর পূর্ণ হয়। কলহ-বিবাদের কারণেও একাদশীর দিনে উপবাস করলে অজ্ঞাত সুকৃতি সঞ্চিত হয়। পুণ্যপ্রদায়িনী সর্বশ্রেষ্ঠ এই ব্রত শ্রীহরির অতি প্রিয়। একাদশী পালনে যে ফল লাভ হয় তা অশ্বমেধ, রাজসুয় ও বাজযপয় যজ্ঞদ্বারা হয় না। দেবরাজ ইন্দ্রও যথাবিধি একাদশী পালনকারীকে সম্মান করেন। একাদশী ব্রতে ভগবত শ্রবনে পৃথিবী দানের ফল লাভ হয়। অনাহারে থেকে হরিনাম, হরিকথা রাত্রিজাগরনে একাদশী পালন করা কর্তব্য। কেউ যদি একাদশী ব্রতে শ্রধু উপবাস করে তাতেই অনেক ফল লাভ হয়। শ্রদ্ধ ভক্তেরা এই দিনে একাদশ ইন্দ্রিয়কে শ্রীকৃষ্ণের নিকট সমর্পণ করেন।
**** *******আমাদের সকলের উচিৎ সুদ্ধ ভক্তিতে শ্রী একাদশী ব্রত পালন করা। ************
************************* হরে কৃষ্ণ ***************************************************
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not share any links